মাওলানা সাদ সাহেবের রুজুনামা
(ভাই মোঃ ফায়সাল সাহেবের মুজাকারা থেকে)
******************************************************
মাওলানা সাদ সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে যে, দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদ সাহেবের অতীতের বয়ানগুলো থেকে যে সমস্ত বিষয়ে আপত্তি করেছিল, তার মধ্যে থেকে শুধু নাকি মূসা আলাইহিস সালামের রুজু কবুল করেছে। আর বাকি বিষয়গুলো নাকি নিষ্পত্তি হয় নাই।
প্রথমে আমরা প্রচারটি শুনি:
———————————–
“দেওবন্দ থেকে উনার কি শুধু এক বিষয়ে সমস্যা ধরে দেওয়া হয়েছে, না অনেক বিষয়ে? তো শুধুমাত্র এক বিষয়ে এতমিনান বললে, সব বিষয়ে মুতমাইন হয়ে গেছে, নিশ্চিত হয়ে গেছে, ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে- এ কথাটা বলা কি মিথ্যাচার নয়? অবশ্যই মিথ্যাচার। ”
এখন আমরা দারুল উলুম দেওবন্দের সাথে মাওলানা সাদ সাহেবের বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেইঃ
———————————————————————————-
দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদ সাহেবের অতীতের বয়ানগুলো থেকে কিছু বিষয়ে আপত্তি করে। যে চিঠিতে দারুল উলুম দেওবন্দ এই আপত্তির বিষয়গুলো লিখে, সেই চিঠির বিশেষ দ্রষ্টব্যতে তারা লিখেছে যেঃ
“পূর্বে তাবলীগ জামাতের সম্পৃক্ত ব্যক্তি থেকে এ ধরনের ত্রুটি হয়েছিল। সে সময়ের উলামায়ে দ্বীন, যেমন হযরত শাইখুল ইসলাম প্রমুখ, তাদেরকে সতর্ক করেছেন। তারা সতর্ক হয়েছেন। ”
দারুল উলুম দেওবন্দের উক্ত চিঠির উত্তরে মাওলানা সাদ সাহেব নিজের হাতে লিখিত রুজুনামা প্রেরণ করেন।
এখন আমরা মাওলানা সাদ সাহেবের নিজের হাতে লেখা রুজুনামার অনুবাদ দেখে নেই:
———————————————————————————–
বিসমিহী সুবহানাহু ওয়া তায়ালা
শ্রদ্ধেয় মাওলানা মুফতি আবুল কাসেম সাহেব ও অন্যান্য হযরতে আকাবিরে উলামায়ে কেরাম, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আপনাদের মূল্যবান লেখনি পেয়েছি। এ ব্যাপারে সবার আগে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছাড়াই পরিষ্কার ভাষায় অধমের অবস্থান ঘোষণা করাটা জরুরী মনে করছি। অধম আলহামদুলিল্লাহ সব আকাবির ও উলামায়ে দেওবন্দ ও সাহারানপুর মাশায়েখদের যে অবস্থান ও তাবলীগ জামাতের আকাবির হযরত মাওলানা ইউসুফ সাহেব কান্ধালাভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত মাওলানা এনামুল হাসান সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর যে মাসলাক ছিল তার উপরেই রয়েছি। একবিন্দুও এর থেকে বিচ্যুত হওয়া পছন্দ করি না।
এ বিষয়ে আপনাদের মূল্যবান লেখনীতে আমার পুরনো বয়ানাতের খন্ডাংশ তুলে ধরা হয়েছে। পরিষ্কার ভাষায় তা থেকে ফিরে আসছি। আল্লাহপাকের কাছে ক্ষমা ও অনুকম্পার প্রত্যাশা করছি। আমাদের কাজের মাসায়েখ ও আসলাফের রীতি-নীতি এই ছিল যে, ভুল ধরা পড়লে সাথে সাথে মেনে নিতেন। ভুল থেকে ফেরত আসতেন। আমিও তাই। আল্লাহপাক সবাইকে বুযুর্গদের পদাঙ্ক অনুসরণ করার তৌফিক দেন। পদস্খলন ও ভ্রান্তি থেকে হেফাজত করুন। উপরন্তু মনে থাকা চাই, আমরা তাবলীগওয়ালারা কোন আলাদা দল নই। আমাদের আলাদা কোন মাজহাব বা তরিকা নেই। আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। আমাদের সবার চলার জন্য আমাদের প্রচলিত রাস্তা হল, দ্বীন ও দুনিয়া যে বিষয়েই হোক; এলেম হাসিল করার ব্যাপারেই হোক; আমাদের সব মাদ্রাসাই আমাদের মারকাজ। যেগুলোকে আল্লাহ পাক আমাদের এই দেশে অর্থাৎ ভারতে বিশেষ করে ইউপি (উত্তর প্রদেশ) কে মারকাজ হিসেবে কবুল করেছেন। উলামায়ে দেওবন্দের যেই মাসলাক, এটাই আমাদের (চলার) মাসলাক। তাবলীগওয়ালাদের আলাদা কোন মতাদর্শ থাকা শক্ত গোমরাহী ও ফেতনার কারণ হবে। এ কথা দিল থেকে বের করে দেওয়া চাই। আমাদের জন্য এসব (দ্বীনি ইলমী) মারকাজ ছাড়া অন্য কোথাও কিছু সন্ধানের বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। আপনার লিখিত আপত্তিনামার যথাক্রমে ব্যাখ্যা এইঃ
এলেম শেখানো প্রসঙ্গেঃ
প্রকৃতপক্ষে বান্দা এটি বিশ্বাস করে যে, আবু হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মতে, ইবাদতের ক্ষেত্রে পারিশ্রমিক নেওয়া জায়েজ নেই। পরবর্তীতে উলামায়ে কেরামগণ পারিশ্রমিক নেওয়ার অনুমতি যেটা দিয়েছেন, তা তো সময়ের পারিশ্রমিক বলে তাবিল করে অনুমতি দিয়েছেন। কাজেই এটিকে তালিমের পারিশ্রমিক বলা চলে না। কিন্তু এর ভাবার্থ উল্লেখ করতে যেয়ে বান্দার ভুল হয়েছে। কথাটি এমনভাবে বলা হয়েছে, যাতে করে ইলমে দ্বীনের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। তাদের কাজকে নাজায়েজ বলার নামান্তর হয়েছে। এর থেকেও বান্দা স্পষ্ট ভাষায় রুজু অর্থাৎ প্রত্যাবর্তন করছে।
মোবাইলে কোরআন শরীফ শোনা ও পড়া প্রসঙ্গেঃ
ঘটনা হলো, বর্তমানে আমাদের যুগে অশ্লীলতা ও নগ্নতার কাজে মোবাইলের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে বান্দার কাছে মোবাইলে কুরআনের অংশ সংরক্ষণ করে তা তেলাওয়াত করা বেয়াদবি। এটা আমার ও আরো কিছু আলেমেরও অভিমত। এতে অন্য আলেমরা দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। এটি বয়ান করার সময় বান্দার ভুল হয়েছে। কারণ একটি দ্বিমতযুক্ত রায়ের অপরপক্ষকে একেবারে বাতিল ঘোষণা দেওয়া অন্যদের খাটো করার নামান্তর। তাদেরকে অসৎ আলেম বলা সীমালঙ্ঘনের শামিল। যা জনসাধারণকে নিরুৎসাহিত করার জন্য প্রকাশ পেয়েছে।
দ্বিতীয়তঃ ক্যামেরাযুক্ত মোবাইলসহ নামাজ না হওয়ার পক্ষে যা বলেছিলাম তাও এরই নিঃসৃত কথা ছিল।
তৃতীয়তঃ এ ধরনের মাস’আলাযুক্ত বয়ান না করার নির্দেশনা আমাদের তাবলীগের হেদায়াতে আছে। হেদায়াতের খেলাফ হয়েছে। কাজেই এই ভুলের স্বীকারোক্তির পাশাপাশি বলতে চাই যে, যেসব মাসায়েলের ক্ষেত্রে সমকালীন আলেমদের মতামত ভিন্ন, সেসবের হীনতার কথা যেমন সাধারণের সামনে খুব কঠোরতার সাথে বর্ণনা করা অনুচিত, তেমনি এসব মাসায়েলের উপর আমল থেকে বিরত থাকা যেখানে উত্তম ও সমীচীন মনে হয় সেক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বনকারীদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত থেকে বহিষ্কৃত বলে দেওয়াটা আদৌ সমীচীন নয়।
ইসলাহী সম্পর্ক ও দ্বীনের অন্যান্য শাখাসমূহ প্রসঙ্গেঃ
বান্দা রুজুনামার শুরুতেই নিজ দৃষ্টিকোণের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে। বান্দার কাছে তাবলীগ ছাড়াও তালিমের জন্য ও তাজকিয়ার জন্য উলামা ও আহলুল্লাহর সোহবাত দ্বীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বান্দা বিভিন্ন বয়ানে এর উপর অনেক জোর দিয়ে থাকে। ইনশাআল্লাহ আগামীতেও এই দিকটায় আরো গুরুত্বের সাথে জোর দিবে।
কিন্তু যখন কোন ব্যক্তি দ্বীনের কোন বিশেষ বিষয়ে একাগ্রতা অবলম্বন করে তখন সে দিকেই তার মনোনিবেশ বেশি থাকে। সে কাজের উপর বেশি থেকে বেশি গুরুত্বারোপ করতে থাকে। বান্দা তাবলীগের কাজের সাথে সম্পৃক্ত। তাই নিজের সাথীদের সামনে এর আহমিয়াতের ব্যাপারে বেশি জোর দেয়। কোন কোন ক্ষেত্রে এসব গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে কিছুটা এমন ভাবাবেগ লক্ষ্য করা গেছে, যার কারণে দ্বীনের অন্য কোন শোবাকে উপেক্ষা করা ধরে নেওয়া হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে এটা কখনোই উদ্দেশ্য ছিল না। যা বান্দার অন্যান্য বয়ানেও সাক্ষী হিসেবে পাওয়া যায়। কাজেই বান্দার কোন বয়ানের দ্বারা তাবলীগ ছাড়া অন্য কোন মেহনতের অবজ্ঞা বোঝা গেলে বা তাবলীগের মওজুদা মেহনতকেই একমাত্র শরয়ী সীমাবদ্ধতা দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে বান্দা স্পষ্ট রুজু করছে। আগামীতেও এর খুব খেয়াল করা হবে ইনশাআল্লাহ। আশা করি এসব আরজ-গুজারিশের পর বান্দার পক্ষ থেকে রুজুনামার ব্যাপারে উদ্ভুত সন্দেহের পরিসমাপ্তি ঘটবে।
মাওলানা মোহাম্মদ সাদ সাহেবের রুজুনামা হস্তান্তর করেন মাওলানা নুরুল হাসান রাশেদ কান্ধলভী, মৌলভী জিয়াউল হাসান, মৌলভী বদরুল হাসান, মুফতি আবুল হাসান আরশাদ সাহেবান। তারা দারুল উলুম দেওবন্দে এটি পেশ করার পর তা গ্রহণ করে রশিদ দেওয়া হয়।
এখন আমরা দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী সাহেবের স্বাক্ষর করা উর্দুতে লেখা রশিদপত্র দেখে নিই যেটা মাওলানা সাদ সাহেবের রুজুনামা গ্রহণ করে দেওয়া হয়েছেঃ
দেওবন্দের রশিদপত্রঃ
—————————
মুকাররামী জনাব মাওলানা সাদ সাহেব (আপনার মর্যাদা বৃদ্ধি হোক), আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। হিতাকাঙ্ক্ষীরা ভালো আছেন।
মূলকথা হলো, আজ ১১ রবিউল আউয়াল, ১৪৩৮ হিজরী অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬; রবিবার; জনাব মাওলানা নুরুল হাসান সাহেব কান্ধলভী ও তার সাথীদের দ্বারা আপনার লিখিত ১০ রবিউল আউয়াল, ১৪৩৮ হিজরী আমাদের হাতে এসেছে- যাতে আপনি অতীতের বয়ানাতের থেকে নিজের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় রুজুনামা প্রকাশ করেছেন। আল্লাহপাক আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
আপনার লেখা শিক্ষকবৃন্দের ও মুফতিয়ানে কেরামগনের সামনে পড়ে শোনানো হয়েছে। শিক্ষকবৃন্দ ও মুফতিবৃন্দ এই রুজুনামায় শান্ত হয়েছেন। এই সংক্ষিপ্ত লেখা রশিদ আকারে শুধু অন্তরের অভিপ্রায় জানিয়ে পেশ করা হল। দারুল উলুমের পক্ষ থেকে বিস্তারিতভাবে লিখিত আকারে খেদমতে পাঠানো হবে ইনশা আল্লাহ।
ওয়াসসালাম
স্বাক্ষর করেছেনঃ আবুল কাসেম নোমানী,
মুহতামিম, দারুল উলুম দেওবন্দ
১১ রবিউল আউয়াল, ১৪৩৮ হিজরী
মাওলানা সাদ সাহেব আম বয়ানেও এটা এলান করেছেন যে, দারুল উলুম দেওবন্দের যে আকিদা, সেটাই মাওলানা সাদ সাহেবের আকিদা।
এখন আমরা মাওলানা সাদ সাহেবের সেই এলানি বয়ান শুনিঃ
——————————————————————————
“আমরা কোন জামাত নই। আমাদের কোন মাযহাব বা পৃথক কোন তরিকা নেই। আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত। আর আমাদের সবার পথপ্রদর্শক, আর আমাদের সবার জন্য যেটা চলার রাস্তা, আর আমাদের যা তরিকা, আর এলেম হাসিল করার ব্যাপারে, আর দুনিয়াবী ও দ্বীনী বিষয়গুলোতে সঠিক পথ হাসিল করার জন্য যেটা আমাদের মারকাজ- সেটা হলো দ্বীনী মাদ্রাসাগুলো। ”
যেগুলোকে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত এই দেশে অর্থাৎ ভারতে আর বিশেষ করে ইউপি বা উত্তরপ্রদেশ এলাকাতে আল্লাহ এই মাদ্রাসাগুলোকে মারকাজের মর্তবা দান করেছেন। নিজেদের মাসলা মাসায়েলের ব্যাপারে এদিক সেদিক গিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে এই মাদ্রাসাগুলোর দিকে ধাবিত হওয়া। দেওবন্দ ও আহলে দেওবন্দ, তাদের মাসলাকই হচ্ছে আমাদের মাসলাক। তাদের মাসলাকই হচ্ছে আমাদের মাসলাক। দ্বীন আর দুনিয়া, কোনো ক্ষেত্রে অণু পরিমানও নিজের কোন রায় কায়েম করা, এরকম কোন ধারণা না কখনো করা হয়েছে, আর না কখনো করা যেতে পারে। ”
মাওলানা সাদ সাহেবের নিজের হাতের লেখা রুজুনামা ও এলানী বয়ান থেকে আমরা কয়েকটি জিনিস বুঝতে পারিঃ
——————————————————————————–
১। দারুল উলুম দেওবন্দের ওলামায়ে কেরাম, সাহারানপুর মাদ্রাসার মাশায়েখগণ, দাওয়াত ও তাবলীগের আকাবির হযরত মাওলানা ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত মাওলানা এনামুল হাসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর যে আকিদা, মাওলানা সাদ সাহেবেরও হুবুহু সেই আকিদা।
২। দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদ সাহেবের বয়ানের যে বিষয়গুলো নিয়ে আপত্তি করেছিল সেগুলো থেকে মাওলানা সাদ সাহেব স্পষ্ট রুজু করেছেন এবং লিখেছেন যে ভবিষ্যতেও এই ধরনের বিষয়গুলো থেকে সতর্ক থাকবেন।
৩। মাওলানা সাদ সাহেবের রুজুনামা পাওয়ার পরে দারুল উলুম দেওবান্দ শান্ত হয়েছেন এবং রুজুনামা গ্রহণ করে দারুল উলুম দেওবন্দ রশিদপত্র প্রদান করে। দারুল উলুম দেওবন্দ যে মাওলানা সাদ সাহেবের রুজুনামা কবুল করেছে- আমরা এখন সেটার প্রমাণ দেখিঃ
দারুল উলুম দেওবন্দ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে যে, মাওলানা সাদ সাহেব যেহেতু সমষ্টিগত ভাবে সকল বিষয় থেকে রুজু করেছেন তাই আমরা তার ওপর আস্থা রাখি।
—————————————————————————
দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত দেওবন্দের স্বাক্ষর করা চিঠি, যার হাওয়ালা নম্বর ১৯৬/৩, চিঠির তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৭। উক্ত চিঠিতে লেখা আছে:
যেহেতু মাওলানা সাদ নিজের চিঠিতে সমষ্টিগত ভাবে রুজু করে ভবিষ্যতে এই ধরনের কথা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছেন, এর জন্য এটার উপর আস্থা রেখে আমরা আশা করি যে, মাওলানা সাদ ভবিষ্যতে এমন কথা থেকে পরিপূর্ণ সর্তকতা অবলম্বন করবেন যা বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামদের নিকট আপত্তিকর হতে পারে। এটার সাথে মাওলানা মোহাম্মদ সাদ সাহেবকে বিশেষভাবে এই বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে, হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এর ব্যাপারে তার বয়ান শুধু অপ্রাধান্যযোগ্য তাফসিরই নয় বরং সেটা নিশ্চিতভাবে গলদ।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই চিঠি থেকে আমরা প্রমান পেলাম যে, হযরত মূসা আলাইহিস সালামের ঘটনা ছাড়া মাওলানা সাদ সাহেবের অন্য সব বিষয়ের রুজু দারুল উলুম দেওবন্দ কবুল করেছে। আর এর জন্যই দেওবন্দ মাওলানা সাদ সাহেবের উপর আস্থা প্রকাশ করেছে।
এখন আমরা দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী সাহেবের ফোনালাপ থেকেও প্রমাণ দেখব যে, হযরত মুসা আলাইহিস সালাম এর ঘটনা ছাড়া মাওলানা সাদ সাহেবের অন্য বিষয়গুলো নিয়ে দারুল উলুম দেওবন্দের যে আপত্তি ছিল সেগুলো নিষ্পত্তি হয়েছেঃ
———————————————————————————
মুফতি আবুল কাসেম নোমানীঃ আসসালামু আলাইকুম, কে?
ফোনকারীঃ জ্বী, মুফতি আবুল কাসেম সাহেব বলছেন?
মুফতি আবুল কাসেম নোমানীঃ জ্বী, বলছি।
ফোনকারীঃ জ্বী, হযরত আমি জমহুর থেকে, আলতাফ হোসেন আমার নাম। জি হযরত, দাওয়াতের কাজের সাথে জুড়ে আছি। তো এখানে আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে এখানে একটা জোড় নির্ধারিত ছিল যেটাতে বাংলাওয়ালি নিজামুদ্দিন মসজিদ থেকে একটি জামাত আসছে, যেটার মধ্যে কিছু উলামাও আসছেন হাফিজুর সাব মহারাষ্ট্র থেকে ও অন্যান্য এলাকার জিম্মাদারগণ আসছেন। তো এই ব্যাপারে আমাদের উলামায়ে কেরাম বলছেন- ভাই, দেখ দারুল উলুম দেওবন্দ এর সাথে এখনো সমস্যার সমাধান হয় নাই। সেই ফতোয়া কায়েম আছে। এ কারণে আমরা এই জামাতকে আসতে দিব না। এই ব্যাপারে তারা সেখানের লোকজনকে জড়ো করে তাদের দ্বারা ইজতেমা ক্যানসেল করে দিলো। আমরা পেরেশান ছিলাম। আমরা বলেছি- ভাই, দারুল উলুম থেকে যেটা আমরা শুনেছি সেটা হলো, আমাদের সাথে তো সমস্যা সমাধান হয়েছে। তো তারা বলে যে, সমস্যার সমাধান হয় নাই। তো এই ব্যাপারে তারা লিখে সব জায়গায় সেটা লাগিয়ে দিল যে, সমস্যার সমাধান হয় নাই আর আমরা ইজতেমা হতে দিবো না। এই ব্যাপারে আপনার থেকে একটু খোলাসার প্রয়োজন।
মুফতি আবুল কাসেম নোমানীঃ ভাই, এই যে মতভেদ চলছে জামাতওয়ালাদের আর শুরাওয়ালাদের, এটার সাথে দারুল উলুমের কোন সম্পর্ক নাই। দারুল উলুম এর থেকে পুরোপুরি সম্পর্কহীন। এই ঝগড়া যেটা নিয়ে হল সেটা হল মারকাজের ইন্তেজাম বা ব্যবস্থাপনা নিয়ে। আর ইন্তেজামী বা ব্যবস্থাপনার ঝগড়ার কোনো সমাধান আমরা দেই না।
আমাদের যে বিষয়গুলো মাওলানা সাদ সাহেবের সাথে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ছিল সেগুলোর মধ্যে প্রায় সমস্ত কথা হয়ে গিয়েছিল যেগুলোর সম্পর্ক মাসলা-মাসায়েলের সাথে ছিল। একটা কথা অপরিপূর্ণ রেখেছিলেন মাওলানা সাদ সাহেব, যেটার জন্য আমরা চিঠি পাঠিয়েছিলাম যে, মূসা আলাইহিস সালামের ব্যাপারে যে তাঁর বয়ান হয়েছিল যে, মুসা আলাইহিস সালাম ৪০ রাত দাওয়াতের কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন, ইবাদতে মশগুল হয়ে গিয়েছিলেন, আর এই কারণে ৫ লাখ ৮৮ হাজার বনী ইসরাঈল বাছুর পূজায় জমা হয়ে গিয়েছিল। শেষ যে চিঠি আমাদের পক্ষ থেকে গিয়েছিলো সেটাতে মাওলানা সাদ সাহেবের কাছে এটা চাওয়া হয়েছিল যে, এই কথার থেকে উনি রুজু করে এলান করেন। আমরা এই ব্যাপারে তার থেকে কোনো চিঠি চাই নাই। এখন তিনি এলান করুক। তিনি এলান করুক- এটা তার কাজ।
উপরোক্ত ফোনালাপ থেকে আমরা বুঝলাম যে, মাসলা-মাসায়েল সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো নিয়ে মাওলানা সাদ সাহেবের উপর দারুল উলুম দেওবন্দের আপত্তি ছিল, সেগুলো থেকে শুধু মূসা আলাইহিস সালামের ঘটনা ছাড়া অন্য সব বিষয়ে মাওলানা সাদ সাহেবের সাথে দারুল উলুম দেওবন্দের কথা পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ শুধু মূসা আলাইহিস সালামের ঘটনা ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সাদ সাহেবের উপর দারুল উলুম দেওবন্দের যে আপত্তি ছিল সেগুলো নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে দারুল উলুম দেওবন্দ মুসা আলাইহিস সালামের ব্যাপারে মাওলানা সাদ সাহেবকে এলানী রুজু করতে বলেছে। দারুল উলুম দেওবন্দের নির্দেশ অনুসারে মাওলানা সাদ সাহেব হযরত মুসা আলাইহিস সালামের ব্যাপারে আম মজমায় এলানী রুজু করেন।
এখন আমরা সেই এলানী রুজুটি শুনে নিইঃ
———————————————————
“যেখানেই যে কোন ভাবেই ছোট কথার মধ্যেও আম্বিয়া আলাইহিস সালামদের পবিত্রতা, তাদের আজমত ও তাদের মর্যাদার অসামঞ্জস্য হয়ে যায়, যেভাবে আমি আরজ করছি যে, আমার দ্বারা বিভিন্ন সময় বয়ানে মূসা আলাইহিস সালামের ঘটনায় বিশেষ করে উনার ব্যক্তিগত ইবাদতে মশগুল হয়ে যাওয়া এই সম্পর্কে বয়ান হয়েছে।
সে যে কথাই হোক, যার দ্বারা আম্বিয়া আলাইহিস সালামদের উচ্চ মর্যাদা আর তাদের পবিত্রতা আর আম্বিয়া আলাইহিস সালামদের কাজের উপর সরিষার দানা পরিমাণও কোন দোষ বা ভুলের সম্ভাবনাও হয়, তার থেকে সর্বদা রুজু করা উচিত।
এ ঘটনায় যেহেতু নিশ্চিতভাবে এদিকে ধ্যান যায় যে, নাউজুবিল্লাহ, মূসা আলাইহিস সালামের স্বগোত্র থেকে আলাদা হওয়ার কারণে গুমরাহী এসেছিল। এই কথার না বয়ান করা উচিত আর না এই ভুলের সমর্থনের জন্য কোন চেষ্টা করা উচিত। বরং এমন বিষয় থেকে সাবধানতা ও দূরে থাকা উচিত।
এতে কোন সন্দেহ নাই যে, আম্বিয়া আলাইহিস সালামদের দুইটি জিম্মাদারী থাকত- দাওয়াত ও ইবাদত। আর তারা দুইটাতেই পুরো চেষ্টা করতেন। এই কথার সম্ভাবনা আনা উচিত না যে, তাদের কোনো এক আমলের চেষ্টায়, আল্লাহ না করে, আরেক আমলের মধ্যে ক্ষতি হয়েছে- এমন সম্ভব নয়।
এজন্য বয়ানের মধ্যে কোথাও এইকথা এসে পড়েছে, তার থেকে আমিও রুজু করছি আর সাথীদেরকেও এই ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।”
মাওলানা সাদ সাহেব দারুল উলুম দেওবন্দের সাথে সমস্যা সমাধানের জন্য যা যা করণীয় সবকিছুই করেন। যার ফলশ্রুতিতে, দারুল উলুম দেওবন্দের সাথে মাওলানা সাদ সাহেবের সমস্ত মাসলা খতম হয়ে যায় বা সমস্ত আপত্তি নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
——————————————————————
এখন আমরা এটার প্রমাণ হিসেবে দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী সাহেবের আরেকটি ফোন আলাপ শুনিঃ
ফোনকারীঃ আসসালামু আলাইকুম।
মুফতি আবুল কাসেম নোমানীঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম।
ফোনকারীঃ হযরত, সব ঠিক আছে?
মুফতি আবুল কাসেম নোমানীঃ জি, কে বলছেন?
ফোনকারীঃ জি হযরত, আমি কর্ণাটক বেলগাম ডিস্ট্রিক্ট থেকে কথা বলছিলাম। হযরত আমাদের এখানে এই কথা চলছে যে, দারুল উলুম দেওবন্দের পক্ষ থেকে নাকি বলা হয়েছে যে, নিজামুদ্দিন মারকাজে না যেতে।
মুফতি আবুল কাসেম নোমানীঃ এরকম একটুও নয়, এমন কিছুই নয়। দারুল উলুম না কাউকে যাওয়ার জন্য বলেছে, না কাউকে না যাওয়ার জন্য বলেছে। দারুল উলুম এটা থেকে একেবারেই পৃথক।
ফোনকারীঃ মাওলানা সাদ সাহেবের যে সমস্যা ছিল? যে ব্যাপারে মাওলানা সাদ সাহেব রুজু করেছিলেন?
মুফতি আবুল কাসেম নোমানীঃ আমার কথা শুনুন, দারুল উলুম দেওবন্দের সাথে মাওলানা সাদ সাহেবের সমস্যার নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। নিজামুদ্দিন মারকাজে কে যাবে আর কে যাবে না, এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া তার নিজের কাজ। আমরা না কাউকে নিজামুদ্দিন মারকাজে পাঠাই, আর না কাউকে নিষেধ করি। এটা বলা ভুল যে, দারুল উলুম দেওবন্দ নিজামুদ্দিন মারকাজে কাউকে যেতে নিষেধ করে।
এই ফোনালাপ থেকে আমরা স্পষ্ট বুঝলাম যে, দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদ সাহেবের ব্যাপারে যে সমস্ত আপত্তিগুলো করেছিল সেগুলো খতম হয়ে গিয়েছে বা নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে।
মাওলানা সাদ সাহেবের ব্যাপারে দারুল উলুম দেওবন্দের আপত্তিগুলোর যে নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে তার আরও একটা প্রমাণ দেখিঃ
—————————————————————-
২০১৯ সালের জুন মাসের ২ তারিখে ভারতের বিখ্যাত আলেম মুফতি ইফতেখারুল হাসান কান্ধালাভী রহঃ ইন্তেকাল করেন। তাঁর জানাজার নামাজে দারুল উলুম দেওবন্দের উলামায়ে কেরামগণ সহ হাজার হাজার আলেম উলামাগণ অংশগ্রহণ করেন। হযরত মাওলানা সাদ সাহেব দামাত বারকাতুহুম এই জানাজার নামাজের ইমামতি করেন এবং দেওবন্দসহ ভারতের হাজার হাজার উলামা কেরাম মাওলানা সাদ সাহেবের ইমামতিতে নামাজ আদায় করেন। ভারতীয় চ্যানেল “Seedhi Baat” থেকে এর প্রমাণ দেখুন।
এই খবরে বলা হয়েছে:
বিশ্ব ইসলামের সুপরিচিত দেওবন্দের তরিকতের শায়েখ ও দিল্লির মুফাসসিরে কোরআন হযরত মাওলানা মুফতি ইফতেখারুল হাসান কান্ধালাভী রহমতুল্লাহি আলাইহির দাফন আজ সকাল ৮টায় ঈদগাহের নিকট স্থানীয় কবরস্থানে সম্পন্ন করা হয়। এই ঘটনায় কান্ধালার ইতিহাসের বিশাল জনসমুদ্র জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করে। তাবলীগের জামাতের আমীর ও হযরত ইফতেখারুল হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি এর খলিফা মাওলানা সাদ কান্দলভী এই জানাজার নামাজ পড়িয়েছেন।
ঈদগাহের পাশে হযরত রহমতুল্লাহি আলাইহির নিজস্ব মাদ্রাসা জামিয়া সুলাইমানিয়ার মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হাজার হাজার ভক্ত তাকে শেষবারের মতো দেখলেন। এই ঘটনায় দূর-দূরান্ত থেকে হযরতের মুরিদগণ ও আস্থা স্থাপনকারীগণ কান্ধালায় পৌঁছান। দারুল উলুম দেওবন্দের উলামাদের প্রতিনিধিদলও শোক প্রকাশ ও জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করার জন্য কান্ধালায় পৌঁছান। শহর ও গ্রামের দূর দূরান্ত থেকে আস্থা স্থাপনকারীগণের রাত থেকেই জমা হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। উল্লেখ্য যে, হযরত মাওলানা মুফতি ইফতেখারুল হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি ঐসমস্ত বুজুর্গ ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম যার দ্বারা ইসলামের ইতিহাসের অগণিত অধ্যায়ে আলোকিত হয়েছে।
১৯৪৮ সালে তিনি মাজাহেরে উলুম থেকে শিক্ষা অর্জন সমাপ্ত করেন। সেই যুগে শ্রদ্ধেয় হযরত মাওলানা শাহ আব্দুল কাদের রায়পুরী রহমতুল্লাহি আলাইহির পক্ষ থেকে তাঁকে খিলাফতের অনুমতি দেওয়া হয়। তাঁকে হযরতের “মুর্শিদ” ও “সুফিজী” উপাধিতে ডাকা হত। ওই সময় হযরতের খলিফার সংখ্যা পঞ্চাশের উর্ধ্বে ছিল যার মধ্যে সুস্পষ্ট ও সুপরিচিত নাম হল তাবলীগ জামাতের আমীর মাওলানা সা’দ কান্ধালাভী। হযরত মাওলানা মুফতি ইফতেখারুল হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি ৫২ বছর কোরআনের তাফসিরের খেদমত করে গেছেন।
ভারতের গণমাধ্যমে প্রচারিত এই সংবাদ থেকে আমরা কয়েকটি জিনিস বুঝতে পারি। দারুল উলুম দেওবন্দসহ ভারতের হাজার হাজার উলামায়ে কেরামগণ মওলানা সাদ সাহেবের কোন সমস্যা আছে বলে মনে করেন না বরং তারা মাওলানা সাদ সাহেবকে সম্মানিত মনে করেন। তাই মুফতি ইফতেখারুল হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি এর জানাজার নামাজে সবচেয়ে সম্মানিত স্থান “ইমাম” হিসেবে মাওলানা সাদ সাহেবকে নির্বাচন করেন এবং সমস্ত ওলামায়ে কেরামগণ মাওলানা সাদ সাহেবের ইমামতিতে জানাজার নামাজ আদায় করেন। হযরত মুফতি ইফতেখারুল হাসান রাহমাতুল্লাহি আলাইহি মাওলানা সাদ সাহেবকে তার খলিফা বানিয়ে গেছেন। যদি হযরত মুফতি ইফতেখারুল হাসান রাহমাতুল্লাহি আলাইহি মাওলানা সাদ সাহেবের মধ্যে কোন সমস্যা আছে বলে মনে করতেন তাহলে তিনি মাওলানা সাদ সাহেবকে তাঁর খিলাফত প্রদান করতেন না। কিন্তু তিনি মৃত্যু পর্যন্ত মাওলানা সাদ সাহেবকে তার খিলাফতের উপযুক্ত মনে করেছেন। এমনকি তার মৃত্যুর পর খলিফা হিসাবে মাওলানা সাদ সাহেবই তাঁর জানাজার নামাজ পড়িয়েছেন।
উপরোক্ত আলোচনায় এটা স্পষ্ট প্রমাণিত যে, দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদ সাহেবের ব্যাপারে যে আপত্তিগুলো করেছিল তার সবগুলোই নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বরং দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদ সাহেবের উপর আস্থাশীল এবং হাজার হাজার উলামায় কেরাম তাঁকে সম্মানিত মনে করেন। তাই দারুল উলুম দেওবন্দ শুধু মুসা আলাইহিস সালামের রুজু করেছে আর বাকি বিষয়গুলো নিষ্পত্তি হয় নাই- এটা বলা স্পষ্ট মিথ্যা অপবাদ।
এই কিতাবের সত্যতা যাচাই করার জন্য এবং উক্ত মিথ্যা অপবাদের ভয়েস রেকর্ড শোনার জন্য নিম্নোক্ত নির্দেশনা অনুসরণ করুন-
https://www.youtu.be/kbw7wN9BifQ বা https://urlzs.com/w1x5k
https://tahkikwazahatijor.home.blog/…/দেওবন্দের-সাথে-মাওলা…/
অথবা
https://urlzs.com/rThrm